আসসালামুআলাইকুম প্রিয় পাঠক বন্ধু আশা করি আপনারা ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি , আজকের আর্টিকেল বিষয়টি লেবু সম্পর্কে। লেবু আমাদের জন্য কত উপকারী, এবং লেবুর বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলী সম্পর্কে জানব। জল মাটি ও অন্যান্য ভৌগোলিক অবস্থার ভিত্তিতে জানা যায়, পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন রকম লেবু জন্মায়। যেমন পাতি লেবু গন্ধরাজ লেবু কমলা লেবু আরো ইত্যাদি। তাহলে জেনে নিন লেবু খাওয়ার উপকারিতা ।
লেবুর স্বাদ গন্ধ অমরত্ব পার্থক্য থাকলে ও, পৃথিবীর প্রায় সব লেবু স্রাইট্রাস্ট জাতীয় ফলের অন্তর্ভুক্ত। লেবু মানুষের প্রতিদিনি লাগে। লেবুর রস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যাই হোক, চলুন লেবুর উপকারিতা সম্পর্কে আমরা জেনে আসি।
লেবু খাওয়ার উপকারীতা
প্রতিদিন একটা লেবু খাওয়ায় যেতে পারে, তবে একটা লেবু ভাগ করে খাওয়া ভালো। এতে ভিটামিন সি থাকে। ত্বক ভালো রাখতে সহায়তা করে। প্রতিদিন লেবু খান শরীরের ভিভিন্ন রোগ থেকে মূক্তি থাকুন। তবে এক বেলায় না খেয়ে প্রতিদিন তিন বেলায় খাওয়ার ভালো। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি ত্বকে ভালো থাকতে সহায়তা করে।
এতে জানা যায় যে প্রতিদিন লেবু খাওয়া আমাদের সাস্থের জন্য খুবই উপকারী। সুতরাং আমরা প্রতিদিন লেবু খাবো
গরম জলে লেবু খাওয়ার উপকারিতা
অনেকের ধারণা হালকা গরম জলে লেবুর রস খেলে কি শরীরের ওজন কমানো সম্ভব? হ্যাঁ এটাই ঠিক যে, কোষ্ঠকাঠিন্য সমাধানে দারুন কাজ করে এ লেবুর পানি। সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা গরম পানির সাথে দু ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে পান করে নিন।
শুধু লেবুর রস খালি গরম পানির সাথে খেতে খারাপ লাগলে সাথে মধু ও লবণ ও নিতে পারেন। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার লেবুর উপকারিতা শেষ নেই।
লেবুর রসের উপকারীতা
চলুন জেনে আসি লেবুর রসের হরেক রকম ক্ষমতা বলি।
১. আমাদের দেশে প্রতিদিন খাবারের মাঝে একটি হচ্ছে ভাত। এই ভাতের মধ্যে এক ফোঁটা লেবুর রস দিলে ভাত ঝরঝরিয়ে থাকে।
২. অনেক সময় দেখা যায় আমরা শাক সবজি কিনে আনলে তরকারি গুলো কালচে হয়ে যায়। তখন লেবুর রসের স্প্রে করলে তরকারি গুলো সতেজ থাকে।
৩. অনেক সময় ডিম সিদ্ধ করতে গেলে দেখা যায় যে ডিমের খোসা ফেটে যায়। তখন লেবুর এক ফোটা রস দিলে অল্পতে খোসা ছাড়িয়ে যায়।
৪. লেবুর কয়েক ফোটা রস চীনের ফটে দিলে চিনি শক্ত হয় না।
আরো পড়ুনঃ
চুলের যত্নে লেবুর উপকারীতা
চুলের যত্নে আমরা কত কিছুই না কিনে থাকি শ্যাম্পু কন্ডিশনার বিভিন্ন দ্রব্য বলি। কিন্তু আমরা কি জানি রান্নাঘরে চুলের উপকারের জন্য একটা উপাদান রয়েছে, সেটা হলো লেবু। চুলের যত্নে রয়েছে লেবুর অসাধারণ ক্ষমতা। লেবুতে বেশকিছু পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। যেমন সাইট্রিক এসিড ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি।
এই লেবু চুলের জন্য কতই না উপকারী, নারকেল তেল বা জলপাই এর তেলের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে দিলে চুল ঘন কালো সুন্দর ও মযবুত হয়। চুল ঝলমলে ও লম্বা করে।
খালি পেটে লেবু খাওয়ার উপকারিতা
অনেকেই খালি পেটে গরম পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে খান। বাড়টি মেদ ঝরানোর জন্য এই কাজটি করে থাকেন। লেবুতে আছে ভিটামিন সি যা শরীরের মেদ কমাতে সহায়তা করে। আমাদের শরীরের পেপসিন ভেঙে পড়ে। এটি মূলত হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি শরীরের সর্বি কমাতে সহায়তা করে।
নিয়মিত লেবুর পানি খাওয়ার উপকারীতা
এক গ্লাস পানি এবং এর সাথে একটা অর্ধেক লেবু, এই দুটি উপাদানে বানানো হয় এই শরবত। এই শরবত প্রতিদিন খেলে দেখবেন যে, ডাক্তারের চেম্বারের নাম ভুলে যাবেন। কারন বিভিন্ন পত্রিকায় দেখা যায়, এই লেবুর পানি নিয়মিত খেলে ছোট থেকে বড় সব ধরনের রোগ থেকে মূক্তি পাওয়া যায়।
সে সঙ্গে মিলে আরো অনেক উপকার।
১. লিবারের রোগ থেকে মূক্তি পাওয়া যায়ঃ
একাধিক গবেষণায় দেখা যায় যে, নিয়মিত লেবুর পানি খেলে লিভারের ক্ষতিকর টত্র্রীক উপাদনেরা বের হয়ে যায়।
২. পুষ্টির ঘাটতি দূর করেঃ
লেবুর পানিতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং আ্যন্টীঅক্সডেন্ট মজবুত থাকে। তাছাড়া ও সে সঙ্গে থাকে মেগনিসিয়াম এসিড, স্রাইট্রিক এসিড, পটাসিয়াম পসপরাস আরো ইত্যাদি।
৩. দেহের ভিতরে পি আইচ লেবেল ঠিক রাখেঃ
ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে লেবু খান তাহলে দেহের পি আইচ লেবেল ভারসাম্য ঠিক রাখে।
৪. টিভি রোগের চিকিৎসায় কাজে আসেঃ
টিভি রোগের চিকিৎসায় কাজে আসে লেবু। সম্প্রতী প্রকাশিত গবেষণার দাবি করা হয়েছে যে, টিভি রোগে নির্মূল একটি ওষুধ হলো লেবুর পানি।
৫. কিডনির পাথর প্রতিরোধ সহায়তা করেঃ
কিডনির পাথর প্রতিরোধ সহায়তাকরে। লেবুতে থাকা স্রাইট্রীক এসিড কিডনির পাথর প্রতিরোধে সহায়তা করে।
কমলা লেবুর উপকারীতা
স্টেট্রাকঃ আমরিকান আ্যসোসেয়েসন নিয়মিত কমলা লেবু গ্রেপফ্রুট জাতীয় ফল খেলে স্টেট্রাক থেকে মূক্তি পাওয়া যায়।
১. কমলা লেবুর রসঃ
কমলা লেবুর রস অত্যন্ত উপকারী,অধিকাংশ রোগে পথ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
২. কমলা লেবু রুচি বাড়ায়ঃ
কমলা খেলে খিদে বাড়ায় ও শক্তি বৃদ্ধি করে।
৩. ক্লান্তি দুর করেঃ
অনেক পরিশ্রম করে এসে কমলা লেবুর পানি খেলে অনেক টা ক্লান্তি দূর হয়।
৪. কৃমি দূর করেঃ
কমলা লেবু সূতাকৃমি দূর করে।
৫. মেদ কমায়ঃ
কমলা লেবু প্রতিদিন খেলে শরীরের মেদ ও পেটের সর্বি কমায়।
৬. ওজন কমায়ঃ
কমলা লেবু শরীরের ওজন কমাতে সহায়তা করে৷
অতিরিক্ত লেবু খাওয়ার উপকারিতা
রক্তে আয়রন বাড়িয়ে দেয়, ভিটামিন সি রক্তে আয়রন সহায়তায় বৃদ্ধি করে। আবার অতিরিক্ত লেবুর পানি পান করলেও শরীরে ভিটামিন সি অতিরিক্ত হলে। ফলে ভিটামিন এর বদলে ক্ষতি হতে পারে। তাই আমরা সচেতনার সাথে লেবুর উপকারীতা ব্যবহার করবো। অতিরিক্ত লেবু খাওয়ার অপকারিতাও রয়েছে। তাই এক সাথে অতিরিক্ত লেবু খাওয়া ঠিক নয়।
লেবু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
লেবুতে যে সাইট্রিক এসিড থাকে, যা কিডনিতে পাথর জমা থেকে প্রতিরোধ করে। সর্দি জ্বর কমায়, দিনকাল এমন যে কারো হাঁচি কাঁশির শব্দ শুনলে, মানুষ আতঁকে উঠছে। এমতবস্থায় যারা এই রোগে ভুগছেন। তাদের জন্য নিয়মিত লেবুর পানি খাওয়া দরকার। লেবুর পানি অনেক টা সুস্থ রাখবে শরীরকে।
সর্দি তে নাক বন্ধ হওয়া থেকে মূক্তিঃ
সর্দির সময় অনেকের এ নাক বন্ধ হওয়ার সমস্যা টা হয়। তখন এক গ্লাস পানিতে আদখানা পাতি লেবুর রস মিশিয়ে, তারপর একডোকে খেয়ে ফেলুন। দেখবেন অনেক টা সস্তীভোদ লাগছে।
ঘাড়ের ব্যথা থেকে মূক্তিঃ
যারা ইউরিক অ্যাসিডের কারণে ঘাড়ের ব্যথায় ভুগছেন। তারা নিয়মিত লেবুর পানি খান। দেখবেন অনেক টা ভালো লাগছে।
মাদকাসক্তি থেকে মূক্তঃ
অনেকেই এই মাদকাসক্ত থেকে বেরিয়ে আসতে চান। তাদের জন্য নিয়মিত এই লেবুর পানি খান অনেক টা রেহাই পাবেন।
জিভে স্বাদ পায়ঃ
লেবু জল শরীরের শর্করা কমায় যার কারনে এই, লেবু জল খাওয়ার পূর্বে খেলে জিভে অনেক টা স্বাদ লাগে। তাই খাওয়ার পূর্বে লেবু খাওয়া একটি ভালো অভ্যাস।
সর্বশেষ কথা
লেবু খাওয়ার উপকারীতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে পারলাম। আশা করি আপনারা খুব সহজে বুঝতে পারলেন। লেবু আমাদের অনেক উপকারী। লেবু শরীরকে সতেজ রাখতে সহয়াতা করে। যাই হোক, যদি আমাদের আর্টিকেলেটি আপনার ভালো লাগে। তাহলে আপনার বন্ধুদের কাছে শেয়ার করুন।
আর আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।