আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক বিন্দু, আশা করি আপনারা ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি ও ভালো আছি। আমার ওয়েবসাইটের প্রথম আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের শরীর এবং মন সুস্থ থাকার জন্য আমি কত কিছু করে থাকি, এমন কি কত কিছু খেয়ে থাকি। তারপর ও আমাদের সুস্থ শরীরের আঁচিল উঠে থাকে। তাই আজ আঁচিল দূর করার নিয়ম লিখতে শুরু করলাম।
ছোট বড় সকল বয়সি মানুষের শরীরে আঁচিল হয়ে থাকে। আঁচিল নেই, এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। আসলে একধরনের ভাইরাসের আক্রমণে ত্বকে দেখা দেয় আঁচিল। এটি মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশে উঠতে দেখা যায়। বিশেষ করে শরীরে পিটে, ঘাড়ে, মুখে, মাথায় উঠে থাকে।
আঁচিল দূর করার নিয়ম
ভাইরাস আঁচিলটি শরীরের বিভিন্ন অংশ উঠে থাকে। কারো বেশি, বা কারো কম হয়। তবে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ঘাড়ে। আঁচিল কিছুটা ছোট বিন্দুর মত হয়ে, আস্তে আস্তে বড় হয়ে থাকে। আঁচিল যার মুখে উঠে, সেই বুঝে আঁচিল কতটা বিরক্তকর। যাই হোক আজ আমি আঁচিল দূর করার নিয়ম লিখবো, আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে।
আঁচিল দূর করার নিয়ম
(Acil) আঁচিল সাধারণত ছোট বিন্দু আকারে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় উঠে থাকে। এটি দীর্ঘস্থায়ী ভাবে থাকার জন্য উঠে। আর আস্তে আস্তে এটি বড় হতে থাকে। যত বড় হয় ততই বিব্ররতকর আর চিন্তিত।
আঁচিল যদি মুখের ত্বকে উঠে, তাহলে খুবই খারাপ লাগে। এটি শরীরের খুবই বিব্রতকর ও সৌন্দর্য নষ্ট করে থাকে। তাহলে শুরু করা যাক, আঁচিল দূর করার নিয়ম।
আঁচিল কি?
এই আঁচিল একটি ভাইরাস সংক্রামক। আঁচিল শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছোট বিন্দু আকারে উঠে, ধীরে ধীরে এটি শরীরের বড় হতে থাকে। এই আঁচিল যত বড় হবে, ততই চুলকাবে বা ব্যাথা করতে থাকবে। বিশেষ করে খুবই বিরক্তকর একটি ভাইরাস।
মূলত আঁচিল ভাইরাসটি রক্ত জমাট করে থাকে। আর এইটি হাতের নখ দ্বারা খুটলে তাড়াতাড়ি বড় হতে থাকে। আর নখ দিয়ে খুটে দিলে, অতিরিক্ত রক্ত বের হতে থাকে। ছোট একটি আঁচিল থেকে অনেক রক্ত বের হয়।
আঁচিল কেনো হয়?
ছোট বড় সব বয়সি মানুষের শরীরের কম বেশি আঁচিল দেখা যায়। অনেক সুস্থ মানুষের শরীরের ও আঁচিল দেখা যায়। আঁচিল একটি সংক্রামক ভাইরাস। এটি কোনো পরিবারের কারো থাকলে, ঐ পরিবারের সবাইর হয়ে থাকে।
আর এটি হয়তো আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে ও হতে পারে। আমরা বেঁচে থাকার জন্য কত জিনিস খেয়ে থাকি, হয়তো বা ঐ খাওয়া থেকে ও হতে পারে। আমাদের সমাজে একটি কথা প্রচালন রয়েছে, খালি পেটে নাকি চাল খাইলে আঁচিল হয়ে থাকে।
যাই হোক এটি ছেলে মেয়ে উভয়ের শরীরের প্রয়োগ করে থাকে। হয়তো বংশ গত ভাবে হতে পারে। হয়তো বা খাওয়া দাওয়া হতে ও হতে পারে।
আঁচিল শরীরের কি ক্ষতি করে?
ছোট আঁচিলটি শরীরের উটলে তেমন ক্ষতি করে না। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সৌন্দর্যগত কারণে এটা অপসারণ করা হয়। মুখে উটলে মুখের সৌন্দর্য কমে যায়। ঘাড়ে উটলে বার বার হাতের নখ দিয়ে খেটা দিতে ইচ্ছে করে, হয়তা হঠাৎ করে ও চুলকায়।
এটি রক্ত জমাট করে থাকে। হাতের নখ দিয়ে খোটা দিলে প্রচুর রক্ত বের হয়। আবার এটি রক্ত জমাট হয়ে পূজে পরিণত হয় থাকে। মাঝে মাঝে ব্যাথা ও করতে থাকে। যাই হোক আঁচিল উটবেই স্বাভাবিক। আঁচিল আবার চলে ও যাবে,কিছু ঔষধ বা ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করলে। তাহলে এই বার জেনে নিন আঁচিল দূর করার নিয়ম
ঘরোয়া পদ্ধতিতে আঁচিল দূর করার নিয়ম
চুল
আঁচিল যখন একটু বড় হবে, তখন হাতের নখ দিয়ে খুটবেন না। যদি হাতের নখ দিয়ে খুটে থাকেন, আঁচিল থেকে অনেক রক্ত বের হবে। যাই হোক, আসল কথায় আসি, চুল দিয়ে আচিল দূর করার নিয়ম জেনে নিন।
রাতে ঘুমানোর আগে, চুল দিয়ে আঁচিল বেধে রাখবেন। এই ভাবে তিন থেকে চারদিন চুল ব্যাবহার করে আঁচিল দূর করা যায়। এতে আঁচিল ধীরে ধীরে ছোট হতে থাকে। এক সাপ্তাহ পর ঐ আঁচিলটি শুখিয়ে ভালো হয়ে যায়।
কলার খোসা
ইংরাজিতে বলা হয় বেনানা, আর বাংলায় কলা, এটি শরীরের জন্য অনেক উপকারী ফল। তেমনি কলার খোসার মাধ্যমে আঁচিল দূর করা সম্ভব। কলার ভেতরের অংশটি বের করে শুধু খোসা দিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে।
এরপর সেই পেস্ট আঁচিলের উপর লাগিয়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়ুন। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কলার খোসায় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে যা আঁচিল দূর করতে সাহায্য করে। এই ভাবে ৫ – ৭ দিন ব্যবহার করুন। আপনার শরীরের আঁচিল দূর হয়ে যাবে।
পেঁয়াজ
আপনার শরীরের আঁচিল দূর করতে পেঁয়াজ বেশ কার্যকরী। ঘরোয়া পদ্ধতিতে পেঁয়াজ ব্যবহার করে আঁচিল দূর করুন। তাহলে জেনে নিন পেঁয়াজ ব্যবহার করে আঁচিল দূর করার নিয়ম।
প্রথমে আপনি পেঁয়াজ কুচি করে কেটে নিন। পেঁয়াজ অনুযায়ী আধা চামচ লবণ মিশিয়ে, সেই কুচি করা পেঁয়াজ ৫- ৬ ঘন্টা ঢাকনা দিয়ে রেখে দিন। তারপর দেখবেন এটি একটি পেস্ট এর মতো হয়ে গেলো।
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এটি আঁচিলের উপর ব্যবহার করুন। পরদিন সকালে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিরাতে এটি ব্যবহার করুন দেখবেন আঁচিল দ্রুত সেরে গেছে। এই ভাবে ৫- ৭ দিন ব্যবহার করুন।
অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করে আঁচিল দূর করার নিয়ম
এই অ্যালোভেরা আপনার ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। আঁচিলের উপর কিছু পরিমাণ অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে ম্যাসেজ করুন। ত্বকে জেল শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। এটি দিনে তিনবার ব্যবহার করলেই হবে। কয়েকদিন ব্যবহার করলে আচিল দূর হয়ে যাবে। এই গুলো ব্যবহার করে ছেলেদের মুখের ব্রণ দূর করাও যায়। ছেলেদের মুখের ব্রণ দূর করার জন্য আরো কিছু জেনে নিন।
আঁচিল দূর করার পদ্ধতি
ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই গুলো ব্যবহার করে যদি আচিল দূর না হয়। তাহলে আপনি চর্ম বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এর পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিন। আচিল দূর হবেই। অনেকে অলসতার কারণে ডাক্তার দেখায় না, এতে আঁচিল বড় হয়ে তর্কের সমস্যা করে। শরীরের সৌন্দর্য নষ্ট করে।
হোমিওপ্যাথিক
আপনি ভালো কোনো হোমিও ডাক্তারের কাছে গিয়ে, শরীরের আঁচিল এর কথা বলুন। আপনাকে সেই ডাক্তার ৩০০-৪০০ টাকা ঔষধ দিবে। সেই ঔষধ গুলো ১ সাপ্তাহ ব্যবহার করলে, শরীরের সব আঁচিল দূর হয়ে যাবে। এতে আমি নিজেই প্রমান পেয়েছি, আমার শরীরের ও আঁচিল ছিলো। হোমিও ঔষধ ব্যবহার করে, আচিল এক সাপ্তাহ ভালো হয়ে গেলো।
এলোপ্যাথিক
আপনার আশে পাশে ভালো কোনো চর্ম বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এর পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিন। আঁচিল দূর হয়ে যাবে।
সর্বশেষ কথা
তাহলে আপনাদেরকে আঁচিল দূর করার নিয়ম বা পদ্ধতি বুঝলাম। যদি ঘরোয়া পদ্ধতি না ভালো লাগে,তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। অনেক আপনাকে অনেক কিছু ব্যবহার করতে বলবে। কারো কথা না শুনে, ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
উপরের আমি যে পরামর্শ দিয়েছি, এই গুলো আমি নিজেই অবগত আছি, উপকার পেয়েছি। তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। যদি উপকার পেয়ে থাকেন। তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন, এই আর্টিকেলটি। নতুন নতুন হেল্থ টিপ্স পেথে আমাদের healthpostbd.com ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।